ফরিদপুরে ৬ জন কোয়ারেন্টাইনে

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ফরিদপুরের ৬ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪জন সম্প্রতি ইতালি থেকে আর ২জন ফ্রান্স থেকে ফিরেছেন। ফরিদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ফরিদপুরে সরকারি উদ্যোগে পৃথক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে।

ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলায় ৫জন এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ১জন করোনা সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদের সকলেই বিদেশ ফেরত।

গত ২ মার্চ শহরের ঝিলটুলীর বাসিন্দা তিন সহোদর ভাই ইতালি থেকে দেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তারা দেশে ফিরেন। গত সোমবার (৯ মার্চ) রাতে বিষয়টি তারা জানতে পারেন এবং পরের দিন মঙ্গলবার (১০ মার্চ) হতে তারা তাদের নিজেদের উদ্যোগেই বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা নেন। এছাড়া গতকাল ১৫ মার্চ আরো ৩জন বিদেশ থেকে ফরিদপুরে আসে।

সিভিল সার্জন জানান, ঔ ব্যক্তির পরিবার হতে তাদের উদ্যোগেই স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিংবা তাদের মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষণও পাওয়া যায়নি। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণের জন্যই তারা তাদের বাসায় অন্যদের সাথে মেলামেশা না করে পৃথক রয়েছেন।

ওই ৬ ব্যক্তিকে পৃথক রুমে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষামূলক পোশাকাদি ব্যবহার করে তাদের খাবার-দাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে প্রতিরক্ষামুলক ব্যবস্থার জন্য কোন পোশাক, কিংবা মাস্ক সরবরাহ করতে পারেনি। তাদের কাছে এখনো এসব মালামাল সরবরাহ করা হয়নি।

বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পৃথক আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। আর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার্থে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও সদরের বক্ষব্যাধী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হতে পারে। এর বাইরে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কয়েকটি বেড পৃথক করে রাখার হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন